বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***
সংবাদ শিরোনাম :
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি শাহিন বেনাপোল বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৭ টন শুটকি মাছ আটক বেনাপোলে আল-আমীন ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন  বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এনজিও সাদ্দামের প্রকাশ্য সিন্ডিকেট বাণিজ্যে! বেনাপোলে নবীন দলের নেতা মাহাবুরের উপর হামলা বেনাপোল কাস্টমস এনজিও বাবুলের নামে দুদকের চিঠি বেনাপোলে বই বিক্রেতা কর্তৃক অপপ্রচার ছড়ানোর অভিযোগ বেনাপোল পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য অহিদুল হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল পূজার ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটক  কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড এর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা জন মেগালান লোপেজ ইউএসএ বিদায়ী সংবর্ধনা 

বেনাপোলে প্রশাসনকে বোকা বানাতে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের লোক দেখানো ব্যবসা

বেনাপোলে প্রশাসনকে বোকা বানাতে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের লোক দেখানো ব্যবসা

সুমন হোসাইনঃ বেনাপোল সীমান্তের স্বর্ন ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে বোকা বানাতে খুলে বসেছেন লোক দেখানো বিভিন্ন ব্যবসা। কেও করেছেন ইলেকট্রনিক্স,টাইলস,গার্মেন্টসের দোকান সহ অবৈধ টাকা কাজে লাগাতে করেছেন আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স। প্রশাসনকে বোকা বানাতে নাম মাত্র এসব দোকান খুলে মাছি তাড়ানো ছাড়া কোন বেচা বিক্রি ছাড়াই সাইনবোর্ড দিয়ে আড়ালে চালাছে স্বর্ন চোরাচালান ব্যবসা। আলোচিত পুটখালী সীমান্তের ভাই ভাই সিন্ডিকেটের মূল ৫ হোতা নাসির,রমজান,ওলিয়ার,রুহুল,রেজাউল সিআইডির হাতে আটকের পর স্বর্ণ সিন্ডিকেটের হাল ধরেছেন নতুন কিছু মুখ।

সরজমিনে পুটখালী গ্রাম ঘুরে গোপন তথ্যমতে জানা গেছে লোক দেখানো এসব ব্যবসায়ীরা বেসিরভাগ পূর্ব পুরুষদের কিছুই ছিলনা। লেখাপড়া না জানা দিনমজুর খেটে দিন পার করা পরিবার গুলো কোন ব্যবসা বানিজ্য ছাড়ায় রাতারাতি বণে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। অভিযোগ রয়েছে এরই এক জন পুটখালী এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন কিছু দিন আগে বেনাপোল বলফিল্ড এলাকায় কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করেন। এবং বেনাপোল বাজারে রুহানী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ইলেকট্রনিক্স এর দোকান খুলে বসেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুঠখালী নজরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর এক সময় দৈনিক ভিত্তিতে গরুর জন হিসাবে কাজ করতেন বর্তমান সে শত কোটি টাকার মালিক। বলফিল্ড পাটবাড়ী এলাকায় নবনির্মিত দুইটি ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি কাজ প্রায় শেষের পথে। ছোট বেলা থেকে যার নুন আনতে পানতা ফুরায় এসব ব্যাক্তিরা এখন স্বর্নের ছোঁয়ায় কোটি কোটি টাকার মালিক। নাম মাত্র স্কুল গোন্ডি না পেরোলেও বর্তমান তারা বনে গেছেন শত কোটি টাকার মালিক। গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে বলফিল্ডের বাড়িতে বিজিবির হাতে হুন্ডির ১৪ লাখ টাকা ২০০ শত বোতল ফেন্সিডিল ও ২৮টি সিম কার্ড সহ আটক হয় আলমগীর। তার নিকটতম প্রতিবেশির মাধ্যমে জানা যায়, বিজিবি স্বর্ণের চালান ধরতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় কিন্তু স্বর্ণের চালানটি বিজিবি প্রবেশের আগেই পেছনের গেট দিয়ে বের হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে জেল খেটে বের হয়ে শুরু করেন দেদারছে করছেন স্বর্ন চোরাচালান কিনেছেন একাধিক জমি। তার আর এক ভাই জাকির রয়েছে বাগআঁচড়ার লাইনের দায়িত্বে সেখানে তার বহুতল ভবন ও লোক দেখানো রড় সিমেন্টের দোকান।
সীমান্তের আর এক স্বর্ন ব্যবসায়ী রেজা বেনাপোল বাজারে করেছেন টাইলসের দোকান। বেনাপোল ছোটআঁচড়া,দুর্গাপুর,নারানপুর ও যশোর,ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলেছেন আলীশান বাড়ি কিনেছেন একাধিক জমি। বেনাপোল পুটখালী সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম ডন রমজান বর্তমান পাটবাড়ী এলাকায় গড়ে তুলেছেন আলীশান বাড়ি বেনাপোল লালমিয়া মার্কেটে রয়েছে লোক দেখানো তার নামিয় রিপা ফ্যাশন কর্নার।

স্থানীয় স্বর্ণ বাহক সূত্র থেকে জানা যায়, ঢাকা থেকে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসার পর বেনাপোল,বাগআঁচড়া,ণাভারণ হোল্ড করে রাখার জন্য এসব জায়গায় জমি কিনে আলিশান বাড়ি করেছেন এসব ব্যবসায়ীরা। দেশের টাকা পাচার করে যেমন কানাডায় বসবাসের জন্য তৈরী হয়েছে বেগম পাড়া তেমনি বেনাপোল দুর্গাপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অত্মীয় স্বজনরা মিলে একাধিক বাড়ি করায় এলাকার নাম হয়েছে পুটখালী পাড়া।

যশোর সিআইডি সূত্র থেকে জানা যায়,গত বছরের জুনে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ১৩৫টি স্বর্ণবারসহ আটক হয় বহনকারী নাজমুল, রাব্বি, জনি, আরিফ মিয়াজী, জাহিদুল ও শাহজালাল। ওই মামলার তদন্ত করে সিআইডি যশোর অফিস। এতেই এক এক করে বেরিয়ে আসে স্বর্ণের প্রকৃত মালিকদের নাম রুহুল আমিন, রেজাউল করিম, ওলিয়ার রহমান, নাসির উদ্দিন ও রমজান আলী। তদন্তে এদের মানি লন্ডারিংয়ের তথ্যও উঠে আসে। এরপর যশোর সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি সদর দপ্তরে এই চক্রের মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য চিঠি দেন। পরে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট অনুসন্ধানে নেমে স্বর্ণ চোরাচালান, হুন্ডিতে ডলার লেনদেন, নামে-বেনামে বিপুল অঙ্কের সম্পদের মালিক তারা। এরই মধ্যে এ চক্রের অর্থ-সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়াও পর্দার আড়ালে স্বর্ণ পাচারের সারথিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে একাধিক ব্যাক্তি গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছেন।

বেনাপোলের প্রবীন এক রাজনীতিবিদ জানান, বেনাপোল এলাকার সীমান্ত গুলো ব্যবহার করে রাতারতি ধনী হওয়ার আশায় স্থানীয় অনেকে এই স্বর্ণ চোরাচালান পথ বেছে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে স্বর্ণ সহ অনেক বাহক আটক হলেও হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। বর্তমান এসব স্বর্ণ পাচারকারিরা বেনাপোল এলাকা দখল করে ফেলেছেন। আলীসান বাড়ি গাড়ী সহ নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন বিপুল পরিমান সম্পদের মালিক। প্রশাসনের চোঁখ এড়াতে এসব বিল্ডিং গুলোতে ঝুলিয়েছে ব্যাংকের দায়বদ্ধ প্লেট। তিনি আরও বলেন অবৈধ উপায়ে অর্জিত এসব সম্পদ ক্রক সহ দুদক দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

অবাধ সম্পাদের উৎস জানতে আলমগীরের মুঠোফোন ০১৯৫৩-২৯৫০৮৮ নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD