মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত সত্য। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে বহু সংখ্যক প্রত্যক্ষদর্শী মাহে শা’বান মাসের চাঁদ দেখেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ভুল তারিখে পবিত্র শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, শা’বান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ জেলা চাঁদ দেখা বিষয়ক কমিটির সভাপতি খাগড়াছড়ি জেলার ডিসি’র মাধ্যমে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’কে জানানোর পরও শা’বান মাসের চাঁদ দেখার সঠিক তারিখ ঘোষণা করেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন। যা সম্পূর্ণরূপে শরীয়তের খিলাফ।
গতকাল বিকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল-এর সভাপতি আন্তর্জাতিক চাঁদ গবেষক ফার্মাসিস্ট আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান এসব কথা বলেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ এবং খাগড়াছড়ি জেলা থেকে আগত খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার হাতীমুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিয মুহম্মদ মূইনুল ইসলাম পারভেজসহ চাঁদ দেখার প্রত্যক্ষদর্শীগণ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রুইয়াতিল হিলাল মজলিসের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৬:৪৪ মিনিটে প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ০২-৯৫৫৯৪৯৩ নং ফোনের মাধ্যমে চাঁদ দেখার সংবাদ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলকে জানানো হয়। খাগড়াছড়ি জেলার ডিসির মাধ্যমে সংবাদটি না আসায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আমাদের করণীয় কিছু নেই। অতঃপর, রুইয়াতিল হিলাল মজলিসের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি জেলার ডিসি সাহেবকে চাঁদ দেখতে পাওয়ার সংবাদটি জানানো হয়। ডিসি সাহেব যারা চাঁদ দেখতে পেয়েছেন তাদের সাথে কথা বলেন। এরপর আমরা চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার সাহেবকে বিষয়টি অবগত করি এবং ডিসি সাহেবের মাধ্যমে চাঁদ দেখার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর আমরা ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর এপিএস ০১৬৭৭১১৪৪৮৮ নাম্বারে এবং পিআরও’কেও ০১৭২৬৫৩০২২২ নাম্বারে মোবাইলে জানানো হয়। রাত ১১:০১ মিনিটে ফোনে ডিসি সাহেব আমাদেরকে জানান, “ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি বিদেশে তাই তিনি সচিবকে জানিয়েছেন যে, হাতিমুড়া এলাকা থেকে তার কাছে চাঁদ দেখার খবর এসেছে। তখন সচিবও তাকে বলেন খবরটি আমরা পেয়েছি। তবে যেহেতু পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে সেহেতু এখন আর কিছু করার সুযোগ নেই।” চাঁদ দেখা কমিটির এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে শরীয়তের খিলাফ। উল্লেখ্য ২০০৮ সালেও আখেরী চাহার শোম্বাহ তারিখ ঘোষণায় হেরফের করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তখন চাঁদ না দেখেই ৫ মার্চ আখেরী চাহার শোম্বাহ তারিখ ঘোষণা করে ইফা।
বক্তারা বলেন, সূরা তওবা শরীফ ৩৭নং আয়াত শরীফে মাসকে আগপিছ বা নাসী করাকে সুস্পষ্ট কুফরী এবং গোমরাহী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই, ‘মজলিসু রুইয়াতিল হিলাল’ এর পক্ষ হতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে সঠিকভাবে শা’বান মাস গণনা এবং সঠিক তারিখে শবে বরাত পালনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার উদাত্ত আহবান জানানো হচ্ছে।