শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগই নেতৃত্ব দেবে বলে মনে করেন দলের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান বিশ্বাস, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ। সত্তরের দশকে পাকিস্তানবিরোধী উত্তাল সময়ে ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হওয়া তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন ১১ই মার্চ। আমি বিশ্বাস করি ছাত্রলীগের মাঝে যে ঐক্য দেখেছি, আবার ৬৭, ৬৮ সালের মতো ছাত্রলীগ ডাকসুর নেতৃত্ব দেবে। ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন। এই ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ছাত্রলীগ আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ছাত্রলীগ শিক্ষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত জাঁতি গড়ার স্বপ্নে যে সংগ্রাম বঙ্গবন্ধু করেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সমাধা করেছেন। এবার ৩০ ডিসেম্বর বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছে। এবারের নির্বাচন ১৯৭০ সালের গণজোয়ারের মতো হয়েছে। সেই নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এবার নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার ম্যান্ডেট দিয়েছে জনগণ। এবার ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের একজন খ্যাতিমান নেতা। ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন, জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রতিবারের মতো বড় পরিসরে শোভাযাত্রা করার কর্মসূচি পালন থেকে সরে এসেছে সংগঠনটি। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। র্যালিটি শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, ফুলার রোড, স্মৃতি চিরন্তন চত্বর ঘুরে টিএসসির রাজু সন্ত্রাসবিরোধী ভাষ্কর্যের পাদদেশে শেষ হয়। এতে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা জেলা উত্তর, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর সরকারি কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ, তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, আবু জর গিফারী কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ শাখা অংশগ্রহণ করে।