বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ভারত খেলবে কি-না, সে সিদ্ধান্ত আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তবে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার জেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসির কাছে বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। চিঠিতে বিশ্বকাপে দলগুলোর নিরাপত্তার ব্যাপারটিকে প্রাধান্য দিয়েছে বিসিসিআই।
চিঠির প্রাপ্যতা স্বীকার করে শনিবার আইসিসির চেয়ারম্যান শশাংক মনোহর জানিয়েছেন, ২ মার্চ আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে ভারতীয় বোর্ডের কাছে বিশ্বকাপের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরবেন তারা।
ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলায় ভারতের সিআরপিএফ বাহিনীর ৪৯ সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলে ভারত। ক্রিকেটাঙ্গনেও পড়ে সেই হামলার ছাপ।
সাবেক বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলার পক্ষে মত দেন। ব্যাপারটি নিয়ে শুক্রবার বিসিসিআইয়ের প্রশাসক কমিটির (সিওএ) সভাতেও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই সভা শেষে জানানো হয়, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত খেলবে কি-না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে। এ ছাড়া আইসিসির কাছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়।
শনিবার আইসিসির চেয়ারম্যান শশাংক মনোহর নাগপুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিসিসিআইয়ের চিঠি পেয়েছি। নিরাপত্তার ব্যাপারটা সবসময়ই আইসিসির কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। দুবাইতে আগামী ২ মার্চ আইসিসির বোর্ড মেম্বারদের একটা সভা আছে। সেখানে বিসিসিআইয়ের কাছে আমরা বিশ্বকাপের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তুলে ধরবো। আশা করি আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা তাদের সন্তুষ্ট করবে। নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের ভাবনা জানানোর অধিকার সবারই আছে।’
শুধু নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারই নয়, বিসিসিআইয়ের চিঠিতে উল্লেখিত অন্যান্য ইস্যু নিয়েও সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানান আইসিসি চেয়ারম্যান।
এদিকে, রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও কথা বলতে হয়েছে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে। সিরিজ শুরুর আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কোহলি বলেন, ‘ভারতীয় দলের অবস্থান খুব স্পষ্ট। সরকার এবং বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে পথেই হাঁটব। দেশের মতামতই আমাদের মতামত।