শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
দল হিসেবে বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। শক্তির বিচারে কিংবা হাঁকে–ডাকে পিছিয়ে নেই কোন দল। তবে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য এক জায়গায়। সেটা মেসি। রোনালদো ক্লাব ছাড়ার পর বার্সেলোনা ওই জায়গায় এগিয়ে গেছে। রিয়াল এবং বার্সার সাবেক মিডফিল্ডার লুইস মিলা এমনটাই মনে করেন।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা দু‘বার মুখোমুখি হবে। কোপা দেল রে‘র সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২৮ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হবে দু‘দল। প্রথম লেগে বার্সার মাঠ থেকে ১–১ গোলের সমতা নিয়ে ফেরে রিয়াল। দ্বিতীয় লেগে যে দল জিতবে তারাই চলে যাবে ফাইনালে। অ্যাওয়ে গোল দিয়ে বার্সা অবশ্য এগিয়ে গেলে সেটা ভিন্ন কথা।
এরপর লা লিগার ম্যাচে ৩ ফেব্রুয়ারি আবার বার্নাব্যুতে দেখা যাবে এল ক্লাসিকো। লা লিগার প্রথম দেখায় বার্সার মাঠ থেকে লোপেতেগুয়ের অধীনে পাঁচ গোল খেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই শোধও নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ রিয়ালের সামনে। সোলারির অধীনে রিয়াল আবার ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১০ ম্যাচের আটটিতে জিতেছে তারা। অন্যদিকে মেসিকে নিয়ে বার্সা শেষ ১০ ম্যাচে এক হার এবং চার ম্যাচে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
তারপরও মেসি বার্সেলোনার দলে থাকা মানে রিয়ালের থেকে তারা এগিয়ে যাওয়া। এর আগেই দুই এল ক্লাসিকো ম্যাচে দলে ছিলেন না মেসি। রোনালদো যাওয়ার পর মেসি–রোনালদো ছাড়া এল ক্লাসিকোর পানসে স্বাদ নিতে হয়েছে ভক্তদের। লা লিগার ম্যাচটায় সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে বড় জয় পায় বার্সা। কোপা দেল রে‘র ম্যাচে ম্যালকমের গোলে হারতে বসা বার্সা সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এবার মেসি ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন কিনা দেখার পালা।
এ নিয়ে মিলা বলেন, ‘ক্লাসিকো ম্যাচে কোন ফেবারিট আছে বলে আমার মনে হয় না। কোন এক দল বেশি ভালো ফর্মে থাকলেও না। আমার চোখে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য একটাই। মেসি। এছাড়া কোন ফেবারিট আমার চোখে পড়ছে না। ঘরের মাঠে খেলা দল দর্শকদের জন্য কিছুটা সুবিধা পাবে। এর বাইরে কিছু না। ক্যাম্প ন্যু এবং ওয়ান্ডায় দারুণ খেলেছে রিয়াল। বার্সার ভালো দিক অবশ্যই মেসি।‘