শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। বারবার আশা দেখিয়েও সিরিজ আয়োজন করেনি। পাকিস্তানে তো আসেইনি, আবার নিজেদের দেশেও ডেকে পাঠায়নি। অন্তত ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে না পারায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্ভাব্য আয়ের অঙ্কটা কমে গেছে বহুগুণ। এমন দাবি নিয়েই বিসিসিআইয়ের বিচার চেয়ে আইসিসির কাছে গিয়েছিল পিসিবি। আইসিসি সে দাবি শুধু উড়িয়েই দেয়নি, উল্টো বিসিসিআইয়ের মামলা লড়ার খরচটা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পিসিবিকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কাল পিসিবির চেয়ারম্যান এহসান মানি জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিসিসিআইকে ১৬ লাখ ডলার (বাংলাদেশের মূল্যমানে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা) দিয়েছেন তারা।
কূটনৈতিক কারণে ভারত বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজ খেলছে না। অথচ ‘তিন মোড়ল’ নীতিতে পাকিস্তানকে রাজি করার সময় দ্বিপক্ষীয় সিরিজের লোভ দেখিয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু এক–একটি সিরিজের সময় আসে আর ভারতীয় বোর্ড নানা অজুহাত দেখিয়ে সেগুলো বাতিল করেছে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজনের কথা বলা হয়। কিন্তু সেগুলো আর বাস্তবে রূপ পায় না। এ দুঃখ থেকেই পিসিবি আইসিসির কাছে আপিল করেছিল, বিসিসিআই সমঝোতা স্মারকের কথার বরখেলাপ করেছে। কিন্তু গত অক্টোবরে আইসিসি সে আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
সে দুঃখও যেন যথেষ্ট ছিল না পাকিস্তানের জন্য। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে তাদের ওপর ধার্য হয় জরিমানার দায়। আইসিসির ডিসপিউট প্যানেল পাকিস্তানকে বলেছিল, এই আপিলের ফলে ভারতীয় বোর্ডের যত খরচ হয়েছে, তার ৬০ ভাগ দিতে হবে পিসিবিকে। এ আপিল নিয়ে কাজ করেছে আইসিসির ডিসপিউট রেভল্যুশন প্যানেল (ডিআরসি)। এ প্যানেলের যত খরচ হয়েছে তার ৬০ ভাগও পাকিস্তানকে বহন করতে হবে, বাকি ৪০ ভাগ বিসিসিআইকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে এহসান মানি বলেন, ‘আইসিসির কাছে পাকিস্তানের একটি মামলা ছিল এবং তার ক্ষতিপূরণ বাবদ আমাদের ১.৬ মিলিয়ন ডলার দিতে হয়েছে ভারতীয় বোর্ডকে (বিসিসিআই)।’ এর বাইরেও আইনি ফি আর ভ্রমণ খরচের দায় টানতে হয়েছে পিসিবিকে।
২০১৫ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারত–পাকিস্তানের। এ থেকে হাজার কোটি রুপির ব্যবসা করার আশায় ছিল পিসিবি। কিন্তু সেটা না হওয়ায় ৪৪৭ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আপিল করেছিল পাকিস্তান। সে ক্ষতিপূরণ তো হয়ইনি, উল্টো ভারতীয় বোর্ডের খরচের বেশির ভাগ তাদের বহন করতে হচ্ছে তাদের।