রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০০ অপরাহ্ন
ত্বকের বর্ণ তৈরি করে এমন কোষগুলো যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন ত্বক আর বর্নিল থাকতে পারেনা, বর্নহীন ত্বকের এমন একটি রোগেরই নাম শ্বেতীরোগ বা ভিটিলিগো। জাতি-গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে শতকরা ১ ভাগ মানুষের এমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
অনেক সময়ই রোগটি পারিবারিকভাবে ছড়ায় বিশেষ করে যাদের ত্বকের অনেক বড় অংশ নিয়ে এটি আবির্ভুত হয়। কোনো স্থানে আঘাত পেলে বা রোদে পুরে গেলে ওখানে ভিটিলিগো শুরু হতে পারে।
কালো বা বাদামী বর্ণের লোকজনের জন্য এটা কিছুটা বিব্রতকর হলেও বর্নহীন স্থানটি কিন্তু কোনো ক্ষতি করেনা, এ স্থানের অনুভুতিও একই থাকে। সাধারণত একই সাথে শরীরের দুই পাশের হাতের আংগুল, কবজি, কনুই, হাঁটু, গলা, মুখ বা চোখের চারপাশে ভিটিলিগো হয়ে থাকে, মাথা বা গালেও হতে দেখা যায়।
বর্নহীন এলাকাটি অনেক সময়ই একই আকারে থেকে যায়, কখনো আবার বাড়তেও থাকে ধীরে ধীরে, যারা কিছুটা সৌভাগ্যবান কখনো কখনো তাদের ঐ স্থানটি পুনরায় কিছুটা বর্ণ ফিরে পেতে পারে। তবে স্থানটিকে সরাসরি সুর্যের আলোয় আনলে এটা বড় হতে থাকতে পারে, তাই কোনো পোশাকে ঢেকে রেখে বা ংঁহ ংপৎববহ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে একে সূর্যরশ্মির হাত থেকে বাচানোর ব্যপারে যতœবানেরা লাভবান হতে পারেন।
এর তেমন একটা ফলপ্রসূ চিকিৎসার কথা এখনো জোরেশোরে শোনা যায়না। ফটোকেমোথেরাপী দিলে কিছুটা আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।তবে এ নিয়ে অনেক গবেষণা এখন ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষায় আছে যা হয়তো বিশাল কোনো সাফল্যের খবর ও শোনাতে পারে।