রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪১ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে চায় না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতি ঐক্যবদ্ধ আছে। এ জন্য বিএনপির কথায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এ সভায় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাবিশ্ব এখন মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষও এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। এখন এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে ও রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। এতে তারা কখনও সাড়া পাবে না। এই ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হয়েই আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কি চায় মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে? সরকার যুদ্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চায় না। এ নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। সূক্ষ্ণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অথচ গত দুই বছরে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কূটনীতিকদের কাছে বিএনপি নেতাদের কোনো কথা বলতে শুনিনি। এখন বলছেন, সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গারা ফেরত যাচ্ছে না। সরকার সারাবিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর বিদেশি চাপ অব্যাহত আছে। এই চাপ আরও বাড়বে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেখানে কিছু এনজিও চক্রান্ত করছে। এই এনজিওদের সঙ্গে কি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলদের আঁতাত হয়েছে? রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে চায়। এটাই তাদের লক্ষ্য। একের পর এক ব্যর্থ হয়ে এখন তারা উন্মাদের মতো ইস্যু খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া দেড় বছর জেলে। বিএনপি দেড় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। অনেক দলের অনেক ব্যর্থতা আছে। কিন্তু বিএনপির মতো এমন ব্যর্থ দল আর নেই। কোনো ইস্যু না পেয়ে এখন তারা রোহিঙ্গাদের ওপর ভর করেছে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, পলাশীতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেনাপতি মীরজাফর ও ইয়ার লতিফ। আর পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল মোশতাক ও সেনাপতি জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান। আর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, বিএমএ নেতা ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ডা. শফিকুর রহমান, ডা. জামালউদ্দিন খলিফা, ডা. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।