মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বৈঠকে মিলিত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন মাহমুদ বায়েজি। তিনি বলেন, ইরান সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেহরানের বিরুদ্ধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করাতে সব উপায় অবলম্বন করছি। শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক করায় সমস্যার সমাধান হবে না।
বায়েজি আরও বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করতে চায় তাহলে তাদের অবশ্যই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভুল সংশোধন করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও বলেছেন, তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসবে ইরান। দুই দেশের মধ্যে চলমান অচলাবস্থা কাটাতে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠকের ইঙ্গিত দেওয়ার একদিন পর ইরানের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন রুহানি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে রুহানি বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ছাড়া আর তারা যে ভুল পথ বেছে নিয়েছে তা বাদ দেওয়া ছাড়া আমরা কোনও ইতিবাচক অগ্রগতি দেখবো না। ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল চাবি ওয়াশিংটনের হাতে।
২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান) ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে গত বছরের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে মারাত্মক সংকটের মুখে পড়েছে ইরানের অর্থনীতি।
সোমবার জি সেভেন শীর্ষ সম্মেলন শেষে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহারের মাধ্যমে ইরানের ক্ষতিপূরণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন তিনি। ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পরমাণু সমঝোতায় বাধ্য করার নীতি নিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের চুক্তির শর্ত মানাও শিথিল করতে শুরু করেছে ইরান। সমালোচকরা বলছেন এতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে।