শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

কাশ্মির ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

কাশ্মির ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে চলমান বিধিনিষেধ ও আটকের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানায় দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় দিল্লি। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা।  সেখানে কারফিউ জারি ও বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত স্থানীয় নেতাকর্মীকে। সেখানে উন্নয়ন করতে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরিদের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে দাবি করা হলেও সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পাকিস্তান। প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর অঞ্চলটির বিদ্যমান অবস্থাকে ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই মুখপাত্র জানান, কাশ্মিরের চলমান পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, ‘আমরা জম্মু-কাশ্মিরের উন্নয়নের বিস্তৃত প্রভাব ও এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা করছি।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন মুখপাত্র বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মিরে আরোপিত বিধিনিষেধ ও আটকের ঘটনায় ‘খুব উদ্বিগ্ন’ রয়েছে ওয়াশিংটন। আমরা আইনি পদ্ধতির সঙ্গে সম্মতি ও মানবাধিকারের ওপর শ্রদ্ধা জানিয়ে এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনার আহ্বান জানাই।’ পরে ‘জম্মু-কাশ্মিরে শিগগিরই একটি সাধারণ রাজনৈতিক মর্যাদায় ফিরে আসবে’  ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্যকে’ স্বাগত জানান তিনি।ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও সীমান্তের সন্ত্রাসবাদ রোধ করতে সব পক্ষের প্রতি আহবান জানাই আমরা। কাশ্মির পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় সহায়তা অব্যাহত রাখবো আমরা।’    মোদি সরকার কাশ্মির পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আরোপিত এই বিধিনিষেধ এবং এই অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করাকে একটি ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।  তবে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার ও বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লিকে বারবার আহবান জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাগুলো বন্ধ থাকায় তথ্যে ধোঁয়াশা, বাইরে থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য সেবা নিতে সমস্যার সম্মুখীণ হচ্ছেন কাশ্মিরিরা। জম্মু-কাশ্মিরের বাসিন্দারা মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে বলছে, ‘আসলে সরকার আমাদের সবাইকে কারাগারে রেখেছে। আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি না। কথা বলতে পারি না। এটা কি কারাগার নয়?’


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD