বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের সবকিছু সমাধানের সক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের রয়েছে। তাই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপির কথাবার্তা বলার দরকার নেই। তারা মুখ বন্ধ করলেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি এ সভার আয়োজন করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, একটি অনুরোধ করব, উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং কথাবার্তা বন্ধ করুন। তাহলে দেখবেন সব সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়তে বিএনপির আহ্বানের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু জাতীয় সমস্যা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বিএনপি জাতির মধ্যে যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে, তাতে তাদের মুখে জাতীয় ঐক্যের কথা জনগণ শুনতে চায় না।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্য জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, যিনি বাঙালি জাতিকে বিভক্ত করেছেন। সেই জিয়াউর রহমানের বিচার ও তার মুখোশ উন্মোচিত না হওয়া পর্যন্ত জাতির বিভক্তি দূর হবে বলে বিশ্বাস করি না।
বিএনপিবিহীন দশম সংসদে কোরাম সংকটে ১৬৪ কোটি টাকা অপচয়ের হিসাব দিয়ে প্রকাশ করা টিআইবির প্রতিবেদনের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, সেখানে (টিআইবির প্রতিবেদন) বলা হয়েছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। টিআইবি বলছে, ২৬ মিনিটে বিল পাস হয়েছে। এতে সমস্যাটা কোথায়? দীর্ঘ আলোচনার বিষয় না থাকলে সবাই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।\হতিনি বলেন, তারা বলতে পারবেন, এই বিল পাস হওয়ার কারণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে কি-না? অন্য কোনো সমস্যার সৃষ্টি করেছে কি-না? বিল কীভাবে পাস হলো, কত সময়ে পাস হলো, সেটার সঙ্গে সংসদের ব্যর্থ হওয়ার যৌক্তিকতা নেই।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংবাদিক স্বদেশ রায়, শহীদ কর্নেল জামিলের মেয়ে আফরোজা জামিল কঙ্কা, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত, সমাজকর্মী ও গবেষক মাজেদা শওকত আলী প্রমুখ।