কয়েক দফা খসড়া প্রকাশের পর শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশ হওয়া আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় (এনআরসি) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষ। আর বাদ পড়েছে ১৯ লাখেরও বেশি। আসাম সরকার জানিয়েছে, বাদ পড়া এসব মানুষকে এখনই বিদেশি ঘোষণা করা হবে না। তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদনের সুযোগ পাবেন। ওই ট্রাইব্যুনালের রায়ের মাধ্যমেই তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি। তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের জাতীয়তা হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে, এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে ‘রাষ্ট্রীয় পরিচয়হীন নাগরিক’ সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে।”
আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকার কারণে কেউ যেন রাষ্ট্রহীন নাগরিকে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে আহ্বান জানান গ্রান্ডি। এ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্য প্রবাহ এবং আইনি সহায়তাসহ সর্বোচ্চ মানদণ্ড অনুসরণের জন্য দেশটির প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।