শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***

নাগরিক তালিকার বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে তৃণমূল

নাগরিক তালিকার বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে তৃণমূল

আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় ১৯ লাখেরও বেশি স্থানীয় লোকজন রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ ইস্যুতে গত সোমবার বিকালে তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে দলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আসামের নাগরিক তালিকার বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।তৃণমূলের অভিযোগ ভারতে বিভাজনের রাজনীতি করছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। আসামের নাগরিক তালিকাও এই বিভাজনের রাজনীতিরই অংশ। এর বিরুদ্ধে আগামি ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ১২ সেপ্টেম্বর কলকাতার চিড়িয়া মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এতে অংশ নিতে পারেন।দলের একজন বলেন, দলীয় বৈঠকে আসামের নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে যে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছেন, তাদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষের কাছে গিয়ে বিজেপির অশুভ দিক তুলে ধরতে। যেমন, তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি করা হবে।তিনি বলেন, “এনআরসি নিয়ে উত্তর পূর্বের নেতাদের সঙ্গে যোগাযো রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের বর্ষীয়ান নেতা ফিরহাদ হাকিম এবং রাজ্যসভার সদস্য তথা উপনেতা সুখেন্দুশেখর রায়কে।এনআরসি নিয়ে দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, আসাম থেকে বাঙালিদের তাড়াতে এনআরসি-কে হাতিয়ার করা হয়েছে। তার প্রশ্ন, ‘সরকার কী করে এতটা হীনমন্য হতে পারে যে, একটা সকালে তারা নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশ করলো এবং আসামের কয়েক দশকের বাসিন্দারা ঘরছাড়া হলেন?’এদিকে আসামের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও ‘বাংলাদেশি মুসলমানদের’ তাড়াতে নাগরিক তালিকা তৈরির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ভাষায়, ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে ‘বাংলাদেশি মুসলমানদের’ তাড়াতে পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক করা হবে। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে হিন্দু শরণার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে বিজেপি।দিলীপের দাবি, ভোটব্যাংক ধরে রাখতে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের দাবি, আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গেও নাগরিক তালিকা চালু করা হোক। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যদি এ কাজ করতে ইচ্ছুক না হয়, আমরা এটা কার্যকর করবো। ২০২১ সালে ক্ষমতায় এলে রাজ্য থেকে বাংলাদেশি মুসলিমদের তাড়িয়ে দেবো।’দিলীপ ঘোষ বলেন, ধর্মীয় নির্যাতন বা অন্যান্য কারণে বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশ থেকে যেসব হিন্দু শরণার্থীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, নাগরিকত্ব বিলের মাধ্যমে তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই বিজেপি নেতার ভাষায়, ‘হিন্দু শরণার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। বিজেপি তাদের সঙ্গে রয়েছে এবং তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক উত্থান ঘটেছে বিজেপি-র। রাজ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল যেখানে ২২টি আসনে বিজয়ী হয়েছে; সেখানে ১৮ আসনে বিজয়ী হয়েছে বিজেপি। এর ধারবাহিকতায় আগামি বার পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে নরেন্দ্র মোদি-র দল।উল্লেখ্য, আসামের নাগরিক তালিকা এরইমধ্যে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ছড়িয়েছে। সেখানে নাগরিকত্ব হারিয়ে রাষ্ট্রহীন মানুষে পরিণত হওয়ার ব্যক্তিদের মধ্যে দেশটির বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতা থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাও রয়েছেন। তালিকা প্রকাশের আগেই দেশহীন মানুষে পরিণত হওয়ার আশঙ্কায় আত্মহননের মতো ঘটনাও ঘটেছে।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD