সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১০:৩১ অপরাহ্ন
রাজধানী অথবা দেশের বড় বড় শহরের মলিন রাস্তাঘাটে হঠাৎ সগৌরবে উপস্থিতি জানান দেয় অডি, বিএমডব্লিউ আর জাগুয়ারের মতো বিলাসবহুল গাড়ি। বিআরটিএ থেকে ওসব বিলাসবহুল গাড়ির ৮৯২ জন মালিককে চিহ্নিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তাদেরই আয়কর ফাইলে কি আছে তা খতিয়ে দেখছে এনবিআর। মূলত বিলাসবহুল গাড়ির মালিকদের কর ফাঁকি খুঁজতেই এ উদ্যোগ। ইতোমধ্যে বিলাসবহুল গাড়ির মালিকদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তাদের আয়কর ফাইল খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন অঞ্চলের কর কমিশনারদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এর ফলে আয়কর ফাঁকির বড় বড় ঘটনা সামনে আসতে পারে এনবিআর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিলাসবহুল গাড়ির মালিকদের আয়কর নথি খতিয়ে দেখলে রাজস্ব ফাঁকির নানা অজানা তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো দেখা যাবে ওসব ধনী ব্যক্তিদের আরো অনেক অপ্রকাশিত সম্পত্তি রয়েছে। ফলে বড় বড় করদাতা যারা ঠিকমতো কর দিচ্ছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যেই বিলাসবহুল গাড়ির মালিকদের কর ফাঁকির কয়েকটি ঘটনা চিহ্নিত করতে পেরেছেন মাঠ কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, যিনি এদেশে বিলাসবহুল গাড়ি আনছেন, তিনি কাস্টম ডিউটি ঠিকই দিচ্ছেন। কিন্তু তার আয়কর নথিতে তা দেখানো নেই। তাছাড়া আয়কর রিটার্নে যে আয় দেখানো হয়েছে, তার পরিমাণ হয়তো অল্প। ফলে কর ফাঁকি ধরা পড়ার ভাল একটা সম্ভাবনা আছে। এর আগে বেশ কয়েকবার এ রকম উদ্যোগ নেয়া হেেলও প্রভাবশালীদের চাপে তা মাঝপথেই থেমে যায়।
এদিকে এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলছেন, যারা একাধিক গাড়ি ক্রয় করেছে এবং কর দিচ্ছে না তাদের মারা খুঁজে বের করা হচ্ছে। আয়কর ফাইল খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন অঞ্চলের কর কমিশনারদের চিঠি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে গাড়ি আসে সাধারণত সমুদ্র বন্দর দিয়ে। ঢাকার শো-রুমেও হরহামেশাই দেখা মিলছে এসব গাড়ি।