বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন
রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, সত্তরের নির্বাচনের মতোই একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জনজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-দুর্নীতি-অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতকে আবারও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের জনগণ উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে সত্তরের মতোই গণরায় দিয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সোমবার সংসদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সরকারি দলের জোয়াহেরুল ইসলাম, আহসানুল ইসলাম টিটু ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান।
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সত্তরের নির্বাচনের মতোই এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও গণমানুষের জোয়ার উঠেছিল। সত্তরের নির্বাচনে যে অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখেছি, তারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও। চট্টগ্রামের পুরাতন সার্কিট হাউসে জিয়া স্মৃতি যাদুঘর নামটি পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নামকরণের দাবী জানিয়ে সাতবার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, জিয়াকে কেউ কেউ স্বাধীনতার ঘোষক বলতে চান। কিন্তু আমরা ছিলাম এ ঘটনার অন্যতম সাক্ষী। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি ওয়ারলেসের মাধ্যমে পেয়েই চট্টগ্রামে তা প্রথম পাঠ করেন ওই সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি আমরা রিক্সায় মাইক লাগিয়ে সেটি আমরা প্রচার করি।
সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, দেশ আজ প্রতিটি সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসড়ক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু এবারের নির্বাচনের পর দেশের কোথাও কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। কারণ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বর্তমান সরকার যেভাবে জঙ্গী-সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করেছে, ঠিক তেমনিভাবে শক্তহাতে মাদকমুক্ত করে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।