শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার পর বেশ কিছু মহলে উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদের বিশ্বব্যাপী বিস্তার নিয়ে আলোচনা ওঠেছে। একই সঙ্গে শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদের সম্প্রসারণের জন্য মূল ধারার রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক ভূমিকাকে দায়ী করা হচ্ছে। গতকাল সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের সম্পাদকীয়তে এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে।
প্রায় কাছাকাছি পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার একটি কলামেও। গার্ডিয়ান বলছে, মূল ধারার রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার কারণে বর্ণবাদ কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের প্রয়োজন সেদিকে নজর দেয়া। সেখানে আরও বলা হয়, শ্বেতাঙ্গবাদের হুমকির প্রতি ‘ধীর দৃষ্টিপাতের’ কারণেই আজ ক্রিয়েস্টচার্চে বর্বরহামলা দেখতে হলো। অথচ গত কয়েক বছরে উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদীদের বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্পাদকীয়তে সেই ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে।
বর্ণবাদীদের ‘ইশতেহার’ বছরের পর বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রকাশ্যে থেকেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কেউ কোনো ‘রা’ করেনি। অথচ মুসলিম কোনো ব্যক্তি হামলা করলে তাকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেওয়া হয়। আর হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ হলে তাহলে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বা অন্য কোনো কিছু দিয়ে ঢাকবার চেষ্টা করা হয়। বিশ্বের স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও এ থেকে পিছিয়ে নেই। মূল ধারার রাজনীতির পক্ষপাতমূলক ভূমিকাও আজ শ্বেতাঙ্গবাদ বিস্তারের অন্যতম কারণ।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর প্রকাশ্যেই তিনি মুসলিমবিরোধী কথা বলেছেন। বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গমন বন্ধ করেছেন। অভিবাসীদের রোধ করতে দেয়াল তুলছেন। আর এই অভিবাসী আর মুসলিমরাই ক্রিয়েস্টচার্চে হামলাকারী ট্যারেন্টের মূল শিকারে পরিণত হয়েছে।