ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে খুবই দুর্বল হয়ে খুলনার স্থলভাগ অতিক্রম করে দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান,বুলবুল এখন আর ঘূর্ণিঝড় নেই। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই দমকা বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উপকূলীয় জেলায় এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। জোয়ারে পানি বাড়তে পারে। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আরও কিছুটা সময় নিরাপদে থাকাতে হবে। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বাগেরহাট,বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হবে।’
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত,কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।