বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তার থেকে অনেক কম খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেয়। ওই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের অপচয় যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। সেই অনুরোধটা আমি সবার কাছে জানাচ্ছি।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) গণভবনে সাতটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের। দেশের ও জনগণের সম্পদ রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। সম্পদ যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন করে যাচ্ছি। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ যাতে উন্নয়নের ফল পায় সে লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়ন মানে শুধু শহরের মানুষের উন্নয়ন না। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যাতে তাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, খাদ্য, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা যায়।’
২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পাহাড়, হাওর, চর ও প্রত্যন্ত এলাকায় সবার ঘরে বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো−রংপুরে আনোয়ারা ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলীতে ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবাহা ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, পটিয়া ৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেঁতুলিয়া ৮ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গাজীপুর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতার ২৩ উপজেলা হলো−বগুড়ার গাবতলী, শেরপুর ও শিবগঞ্জ, চট্টগ্রামের লোহাগড়া, ফরিদপুরের মধুখালী, নগরকান্দা ও সালথা, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, গাইবান্দা সদর ও পলাশবাড়ী, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম, লালপুর ও সিংড়া, নেত্রকোনার বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও ইন্দুরকানী। কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ওইসব এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।