শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার নতুন রেকর্ড হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে দেশটিতে ভর্তি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৪৯ জনে।
ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সচেঞ্জ বিষয়ক ২০১৯ সালের ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট’ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০১৭-১৮ সালের রিপোর্টের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ২০০৯ সাল থেকে তথা ১০ বছরে তা বেড়ে হয়েছে তিনগুণের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর এবং শিক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন উইক (আইইডব্লিউ-নভেম্বর ১৮-২২) উদযাপন উপলক্ষে সোমবার ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর হার সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। আর বাংলাদেশ শীর্ষ ২৫ দেশের মধ্যে একমাত্র দেশ, ২০১৮ সালের রিপোর্টের পর থেকে যাদের দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।
দূতাবাস জানায়, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত মোট ৮ হাজার ২৪৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫,২৭৮ জন স্নাতক পর্যায়ে পড়েন, যা ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ১৩.৫ শতাংশ বেশি।
রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে পড়াশোনারত প্রায় ৭৫ শতাংশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিষয়গুলো নিয়ে পড়ছেন। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি প্রকৌশল, প্রায় ১৮ শতাংশ গণিত/কম্পিউটার সায়েন্স এবং ১৫ শতাংশের বেশি ভৌত বিজ্ঞান বা লাইফ সায়েন্স নিয়ে পড়ছেন। প্রায় ৮ শতাংশ পড়ছেন ব্যবসা/ব্যবস্থাপনা নিয়ে।
গত চার বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা রেকর্ড ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৯ এ ওঠে। একইসঙ্গে এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ১৩ বছরে অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা।
দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিময়ের বিষয়টি এগিয়ে নেয়া ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের জন্য একটি কৌশলগত অগ্রাধিকারের বিষয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা বিনিময় উভয় দেশ ও জনগণকে উপকৃত করবে। এটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও আন্তঃসাস্কৃতিক সম্পদের পাশাপাশি ব্যবসায়িক ও পেশাগত নেটওয়ার্ক জোরদার করবে। একইসঙ্গে তা নবীন শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক চাকরির বাজারে প্রবেশ তথা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।