রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার সকাল ৯টা। মেহেদি হাসান বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বনানীতে তার অফিস। মিরপুর ১০ নম্বরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য। কিন্তু ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাসে উঠতে পারেননি তিনি।
ক্ষোভ ঝেড়ে বললেন, দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। বাস এসেছে হাতেগোণা কয়েকটি। যেগুলো এসেছে তাও গেটলক। কিভাবে অফিস পৌঁছাব এখন বুঝতে পারছি না।
মেহেদি হাসানের মতোই বিপাকে পড়েছেন আরও অনেকে। নতুন সড়ক আইন কার্যকর ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল কম দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানীতে কোনো পরিবহন ধর্মঘট চলছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, রাজধানীতে বাস মালিকদের কোনো কর্মসূচি নেই। তবে কেউ কেউ রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছে না। কাগজপত্র হালনাগাদ করার কারণে তারা গাড়ি সড়কে নামাননি।
দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের ব্যাপারে আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বিভিন্ন আন্তঃজেলা সমিতির পক্ষ থেকে সেখানে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৭ দিন প্রচার প্রচারণার পর সোমবার থেকে আইনটি প্রয়োগ শুরু করে পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিআরটিএ)।
এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।