রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা কর্তৃক হত্যাকান্ডের ০৮ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ,
গত ১৭/০৬/২০২০ ইং তারিখে সকাল অনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকার সময় সংবাদ পাওয়া যায় যে, ইপিজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং কাঁচা বাজার রোডস্থ আবুল কালাম লন্ডনীর বাড়ীর ২য় তলায় একজন মহিলাকে অজ্ঞাতনামা দুবৃত্তরা হত্যা করিয়াছে।
উক্ত সংবাদের বিষয়টি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম জনাব হামিদুল আলম, বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম জনাব আরেফিন জুয়েল, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর), সিএমপি, চট্টগ্রাম জনাব মোঃ কামরুল হাসান মহোদয়দের অবগত করিয়া ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মীর মোঃ নূরুল হুদা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তাৎক্ষনিকভাবে ইপিজেড থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোহাম্মদ হোছাইন এর নেতৃত্বে এসআই/ টিটু নাথ, এসআই/ মোঃ জিল্লুর রহমান, এসআই/ মোঃ আবু সাঈদ, এএসআই/ মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, এএসআই/ মোঃ হান্নান হোসেন, এএসআই/ মোঃ হান্নান উদ্দিন’দের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম গঠন করা হয়।
উক্ত টিম ইপিজেডের অফিসারগণ উক্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য দ্রুতগতিতে মাঠে নেমে পড়ে, টিম ইপিজেড উক্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে একটু বেগ পেতে হলেও টিম ইপিজেড হতাশাগ্রস্থ না হয়ে ঘটনার পেছনে ছুটতে থাকে।
তাহারই ধারাবাহিকতায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও পুলিশিং কলাকৌশল অবলম্বন করে অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে টিম ইপিজেড এর অফিসার ডাক্তারের ছদ্মবেশ ধারণ করিয়া তাহার টিমের অধীনস্থ অফিসারদের বিভিন্ন ছদ্মবেশে সম্ভাব্য সকল স্থানে মোতায়েন করিয়া অতি দ্রুত সময়ে ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ড হত্যাকারী পলাতক আসামী মোঃ সোহাগ হাওলাদার (২২), পিতা-মোঃ খালেক হাওলাদার, মাতা-মনিরা বেগম, সাং-মল্লিকের বেড়, হাওলাদার বাড়ী, ডাকঘর-মল্লিকের বেড়, থানা-রামপাল, জেলা-বাগেরহাটকে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্বামী-স্ত্রীর বিরূপ সম্পর্কের জের ধরিয়া ক্ষোভের বশবর্তী হইয়া শ্বাশুড়ীর বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ১৭/০৬/২০২০ ইং তারিখ সকাল বেলা ভারী বর্ষণের সময় হত্যাকারী সঙ্গোপনে বাসায় প্রবেশ করিয়া নিহত মারিয়া আক্তার মালাকে (২০)’কে শ্বাসরুদ্ধ করিয়া হত্যা করিয়া গোপনে পালিয়ে যায় যাহাতে তাহার শ্বাশুড়ীসহ অন্য লোকজন ধারণা করে যে, অজ্ঞতনামা কেউ অজ্ঞাত কারণে নিহত মারিয়া আক্তার মালাকে হত্যা করিয়াছে, কিন্তু টিম ইপিজেড আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘাতকের পেছনে ছুটতে ছুটতে ঘটনায় জড়িত মাস্টারমাইন্ড আসামীকে ধৃত করিতে সক্ষম হয়।
উক্ত আসামীকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার নিমিত্তে গোপনে শ্বশুড়ালয়ে গিয়ে মারিয়া আক্তার মালাকে মুখ ও গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করিয়া গোপনে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে এবং মাননীয় আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে,বর্তমানে মামলাটি তদন্ত অব্যাহ আছে।