শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরের রাতে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধীরা। ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কায় অনেক শহরে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
পশ্চিমাঞ্চলীয় ওরিগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডে শেষ রাতে বিক্ষোভ স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, হাতুড়ি এবং রাইফেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
পোর্টল্যান্ডের পুলিশ বলছে, পোর্টল্যান্ডের একটি এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে দাঙ্গা ঘোষণার পর পুলিশ অন্তত ১০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে, নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) বলছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ থেকে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েেছে।
পোর্টল্যান্ড পুলিশের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, শহরের উপকণ্ঠে অনেক মানুষ সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের স্থানে দাঙ্গা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি।
আটলান্টা, ডেট্রোয়েট, নিউইয়র্ক, অকল্যান্ড, ওরিগন শহর ছাড়াও আরও বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনার পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে বিপক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর তৃণমূল পর্যায়ের অন্তত ১৬৫টি সংস্থার একটি জোট দেশজুড়ে শতাধিক সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। বুধবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছে এই জোট।
এদিকে, মিনিয়াপোলিস শহরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় পুলিশ অন্তত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট গণনা বন্ধের যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছেন এই বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্ক এবং শিকাগো শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। অন্যদিকে, ডেট্রোয়েট শহরে ট্রাম্পপন্থীরা একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভোট কেন্দ্রের দরজা–জানালায় আঘাত করেন এবং ‘ভোট গণনা বন্ধ কর’ স্লোগান দেন। অ্যারিজোনার ফোনিক্স শহরে ভোট গণনাবিরোধীরা বিক্ষোভ করেছেন।