বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় জয়দেবপুর–রাজশাহী রেললাইনের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাখালি এলাকায় ঢাকাগামী ট্রেন ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ এর সঙ্গে একটি বাসের সংঘর্ষে আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোণার কলমাকান্দা থানার বটতলার বাবুল মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মত করিমা (৩৫) এবং একই থানার মুন্সিবাড়ি এলাকার সামছু মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়া (২২)।
আহতরা হলেন নেত্রকোণার সদর থানার শাহনেওয়াজের ছেলে মো. হারুন (৪০), কলমাকান্দার মোস্তফার ছেলে মো. মানিক (৩০) এবং গোপালগঞ্জের কাজুলিয়ার আফতাব উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম (৫২)।
হতাহতরা সবাই ওই বাসের যাত্রী ছিলেন।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা নীলসাগর ট্রেনটি শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল।
পথে কালিয়াকৈর কলেজের পাশে সোনাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় একটি বাসের সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় ট্রেনটি বাসকে দুমড়ে মুচড়ে আধা কিলোমিটার সামনে নিয়ে গিয়ে থেমে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ মারা যান।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে কাজ করে ৯টা ২০ মিনিটে রেলপথ থেকে বাসটি সরায়।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের পশ্চিমাংশে বিভিন্ন স্টেশনে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও ঘটনাস্থলে নীলসাগর এবং রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর জংশনে আটকা পড়েছিল।
দুর্ঘটনায় ট্রেনের কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. কবিরুল আলম ও লিডার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে তারা বাসটি রেলপথ থেকে অপসারণ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।