রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আরও হামলার নির্দেশ দিতে তিনি সংকোচ বোধ করবেন না।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও। অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরাও। এরপর থেকে নিয়মিত লোহিত সাগরে ইসরায়েলমুখী জাহাজ লক্ষ্য করেহামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠী।
দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হুথিদের ব্যবহৃত সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়া যুদ্ধবিমানও ব্যবহার করা হয়েছে।
হামলার প্রতিবাদে পাল্টা হুশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে জানান ইয়েমেনে হুথিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এই ‘নির্লজ্জ আগ্রাসনের’ জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘আজ আমার নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যকে সাথে নিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এসব এলাকা হুথি বিদ্রোহীরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছিল।’
তিনি এই হামলাকে হুথিদের ‘অভূতপূর্ব’ আক্রমণের ‘সরাসরি জবাব’ বলে অভিহিত করেছেন।