সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩১ অপরাহ্ন
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আপন ভাতিজা মো. মহিবকে (৭) শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে চাচা জামাল হোসেন ও সহযোগী সজীব আলমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- মতলব দক্ষিণের ঘোনা গ্রামের গোগন প্রধানিয়া বাড়ির মুকবুল হোসেনের ছেলে জামাল ও একই গ্রামের ওমেদ আলী বেপারী বাড়ির মো. শহীদ উল্যাহর ছেলে সজীব।
মামলার বাদী মহিবের বাবা মো. মাসুদ রানা ঘটনার সময় প্রবাসে ছিলেন।
আদালত প্রাঙ্গণে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত মহিবের বাবা মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালের ০৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে আমার ছেলে মহিব ঘোনা স্কুল মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ০৪ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী ও ভাই জামালসহ (আসামি) থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে আমার স্ত্রী আমাকে ঘটনাটি জানালে ০৯ ডিসেম্বর আমি দেশে ফিরে থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে সজীবকে আটক করে। পরে সজীব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, খেলার মাঠ থেকে মহিবকে ধরে নিয়ে যান চাচা জামাল ও সহযোগী সজীব। পরে তারা শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ে মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহীম খলিল ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
আদালত দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর সময়ে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন এবং মামলার সব নথিপত্র পর্যালোচনা করে রোববার এ রায় দেন।
মামলায় সরকারপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট রণজিৎ কুমার রায় চৌধুরী ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোক্তার আহম্মেদ (অভি)।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. মুরাদ হোসেন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আলী।